শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৭:০৯:১৩

এবার যুদ্ধবিমানে ‘লেজার গান’ সংযোজন

এবার যুদ্ধবিমানে ‘লেজার গান’ সংযোজন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিষয়টি গল্পের মত শুনা গেলেও আগামী ৫ চছরের মধ্যেই সকল যুদ্ধবিমানে ‘লেজার গান’ বাস্তবে ব্যবহার করার মত প্রযুক্তি আবিষ্কার করে ফেলেছে আমেরিকা। ওয়াশিংটনের খবর অনুযায়ি, ২০২০ সালের মধ্যে মার্কিন বায়ুসেনা তাদের বিমানে লেজার গান-সহ অন্যান্য মারণাস্ত্র লাগানোর কাজ সেরে ফেলবে।

এই লেজার গান থেকে ১৫০ কিলোওয়াটের বিদ্যুৎতরঙ্গে শত্রুর উপর বর্ষিত হবে। এখন মার্কিন সেনা যে সমস্ত বৈদ্যুতিক হাতিয়ার ব্যবহার করে তার থেকে দশগুণ ছোট এই নয়া অস্ত্রের মারণক্ষমতা হয়ে অন্তত কয়েকগুণ বেশি। নিউ মেক্সিকোর হোয়াইট স্যান্ডস মিসাইল রেঞ্জ গ্রাউন্ডে এই অস্ত্রের পরীক্ষামূলক ব্যবহার চলছে।

থার্ড জেনারেশন প্রোটোটাইপ এই অস্ত্রের আকৃতি ১.৩ মিটারx ০.৪ x ০.৫ মিটার। সিঙ্গল লিথিয়াম ব্যাটারি প্যাকে চলা এই হাতিয়ার বানাতে গত কয়েকছর ধরেই ‘ডিএআরপিএ’ লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল।

অস্ত্রটির পোশাকি নাম- ডিরেক্টেড এনার্জি উইপেন্স পডস। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে মার্কিন যুদ্ধবিমানে এই অস্ত্র ব্যবহার করা হবে। শুধু মনুষ্যচালিত বিমানেই নয়, যন্ত্রচালিত ছোট বিমান বা ড্রোনেও লাগানো হবে লেজার গান।

যুদ্ধরীতি সংক্রান্ত এক আলোচনাসভায় যোগ দিতে এরকমটা দাবি করলেন মার্কিন বায়ুসেনার জেনারেল হক সিরলিসলে। তিনি বলেন, “আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই আমাদের বিমানে লেজার গান লাগানো সম্ভব হবে। অনেকেই যা এতদিন স্বপ্ন দেখতেন, এবার তা বাস্তব হতে চলেছে।”
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে