রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৩:৪৭:৫৬

যে কারণে আফ্রিদির কাছে ক্ষমা চাইলেন সালমান বাট

যে কারণে আফ্রিদির কাছে ক্ষমা চাইলেন সালমান বাট

স্পোর্টস ডেস্ক : স্পট ফিক্সিংয়ের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে এই মাসেই। তবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এখনই ফেরা হচ্ছে না সালমান বাট ও মোহাম্মদ আসিফের। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের বেঁধে দেয়া পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে দুজনকে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির কাছে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চাইলেন সালমান বাট।

জিম্বাবুয়ে সফর সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তান দল অনুশীলন করছিল করাচির ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আগে থেকে সেখানে ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন করছিলেন স্পট ফিক্সিং-কাণ্ডে কলঙ্কিত তিন ক্রিকেটার। প্রত্যক্ষদর্শীকে উদ্ধৃত করে ভারতীয় টিভি চ্যানেল এনডিটিভি বলছে, সেখানেই আফ্রিদির কাছে নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নেন ২০১০ সালে স্পট ফিক্সিং-কাণ্ডের সময় পাকিস্তান দলের অধিনায়ক।

পরে পাকপ্যাশনডটনেটকে আফ্রিদি বলেছেন, সালমান বাট আমার সঙ্গে দেখা করে দুঃখ প্রকাশ করেছে। আমি ওকে বলেছি, আমিরের মতো তারও উচিত ছিল আগেই ভুলটা স্বীকার করে নেওয়া। ওকে ক্রিকেটেই মনোযোগ দিতে বলেছি আমি।

নিষেধাজ্ঞা কাটানো তিন ক্রিকেটারকে আবার মূল ধারার ক্রিকেটে ফেরানোর বিষয়ে দুই ভাগে বিভক্ত পাকিস্তানের ক্রিকেট। কেউ তাঁদের আরেকটি সুযোগ দেওয়ার পক্ষে, আবার কেউ উদ্বিগ্ন নতুন উঠে আসা খেলোয়াড়দের ওপর এর প্রভাবটা কী হবে তা নিয়ে। তবে বাটের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বলটা পিসিবির কোর্টেই ঠেলে দিলেন আফ্রিদি, ওকে ফিরে আসার সুযোগ দেওয়া হবে কি না, সেটা ক্রিকেট বোর্ডই সিদ্ধান্ত নেবে। এটা নতুনদের সামনে কী উদাহরণ রাখবে সেটাও ভাবতে হবে বোর্ডকেই। নতুনদের জন্য ভালো হয় এমন সিদ্ধান্তই নেওয়া উচিত।

আপাতত প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ফিরতে পিসিবি ছয় মাসের পুনর্বাসনপ্রক্রিয়া বেঁধে দিয়েছে বাট ও আসিফকে। যার একটি শর্ত হচ্ছে, সাবেক সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে এই দুই ক্রিকেটারকে, তাঁদের গ্রহণ করে নিতে অনুরোধ করতে হবে। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাঁ–হাতি পেসার মোহাম্মদ আমির ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছেন গত জানুয়ারিতেই। পিটিআই।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বাট অশ্রুসিক্ত চোখে আফ্রিদির সামনে যান এবং নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চান। এ সময় তিনি আরও বলেন, ইংল্যান্ডের সে ঘটনার আগে আফ্রিদির উপদেশ মেনে কাজ করা উচিত ছিল। বাট আফ্রিদিকে ক্ষমা করে দেয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করতে থাকেন। আফ্রিদি চুপ করে ছিলেন। পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে যাচ্ছে দেখে আফ্রিদি শেষে বাটকে বলেন, তার ক্রিকেটের দিকেই মনযোগ দেয়া উচিত।

এর আগে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেট মাঠে ফিরেছেন মোহাম্মদ আমির। নতুন করে আবারও শুরু করতে যাওয়া আমির জাতির কাছে ক্ষমা চান। ২০১০ সালে পাকিস্তান দলের ইংল্যান্ড সফরে লর্ডস টেস্টে অর্থের বিনিময়ে ইচ্ছাকৃত নো বল করে ধরা পড়লে আইসিসি ২০১১ সালে সেসময়ের অধিনায়ক সালমান বাট এবং দলের অপর দুই ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমিরকে ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে।
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে