সোমবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৯:৪৫:২৫

কাপাসিয়ায় কমিউনিটি পুলিশদের ভল্লম, লাঠি ও পোষাক প্রদান

কাপাসিয়ায় কমিউনিটি পুলিশদের ভল্লম, লাঠি ও পোষাক প্রদান

এফ এম কামাল হোসেন, কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের কাপাসিয়া-কালিগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা ঐতিহ্যবাহী তারাগঞ্জ বাজার হাসপাতাল চত্বরে ৫ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে দুর্গাপুর ও মুক্তারপুর ইউনিয়নের জনগণ ও কমিউনিটি পুলিশের উদ্যোগে মাদক দ্রব্য রোধ, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, গণ সচেতনতা সৃস্টির লক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।



কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা’র সভাপতিত্বে ও কাপাসিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসান উল্লাহ‘র পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ পি পি এম (বার)। বিশেষ অতিথি ছিলেন কাপাসিয়া উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ আনিসুর রহমান, কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক এমপি মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাড. রেজাউর রহমান লস্কর মিঠু, পুলিশ সার্কেল (কালিগঞ্জ) সালেহ্ উদ্দিন আহমদ, কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান, কাপাসিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কাসেম পি পি এম। অন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন  কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আজগর রশিদ খান, তারাগঞ্জ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মোঃ বোরহান উদ্দিন আহম্মেদ, কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান প্রধান, দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ ইউনুছ আলী মোল্লা, মোক্তারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইমলাম তোরন, কাপাসিয়া উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মাহবুবউদ্দিন সেলিম, কালীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম আলমগীর, তারাগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি  শামসুল আলম ভুঁইয়া প্রমুখ।


গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ তার বক্তৃতায় বলেন, গাজীপুরের দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী  স্থান তারাগঞ্জ। এ এলাকার জনগন সচেতন না হলে চুরি ডাকাতি রোধ করা কঠিন হয়ে পড়বে। সমাজের যারা চুরি ডাকাতির সাথে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে সামাজিক ভাবে বয়কট করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের আইনের কাছে সোর্পদ করতে হবে। এদের কম বেশী সবাই চিনে। কে কি করছেন এলাকার মানুষ তা জানে। এলাকার লোকের সহযোগিতা ও সঠিক তথ্য পেলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা সহজ হবে। এলাকার লোকজনের সহযোগিতা ছাড়া অন্য এলাকার  লোক এসে এখানে চুরি ডাকাতি বা যে কোন ধরনের অপকর্ম করতে সাহস পাবে না। তারাগঞ্জ অঞ্চল একটি শিক্ষিত ও ঐতিহ্যবাহী এলাকা । বিগত ৪০ বছর এ এলাকায় চুরি ডাকাতি বন্ধ থাকলেও র্দীঘ দিনের অর্জনকে ম্লান করে দিতে নতুন করে অপরাধীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এদের রিরুদ্ধে আপনারা এলাকায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলুন। তিনি আরো বলেন, হয় পুলিশ থাকবে, নয়তো সন্ত্রাসীরা থাকবে। গাজীপুরে কোন সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ, মাস্তান, চোর, ডাকাতদের স্থান নেই। থানার টাউট- বাটপারদের আগে ধরতে হবে। তাদের নিমূর্ল করাই পুলিশের কাজ। মাদকের ফলে যুব সমাজ আজ ধ্বংসের পথে। আপনারা জানেন এলাকায় কারা মাদক সেবন করে, মাদক বিক্রি করে, মাদকের সাথে জড়িত। তিনি বলেন, আমরা মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করছি। আমি জানি অনেক পুলিশ অপরাধীর সাথে জড়িত। কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। যারা চাকুরি করে না, লেখাপড়া করে না, দিনের বেলায় ঘুমায়, তারাই এলাকায় মাদক সেবন করে ও সন্ত্রাস করে। তাদের তালিকা তৈরী করে গোপনে পুলিশের কাছে দেয়ার জন্য এলাকার জনগনের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। পুলিশ সুপার  হারুন অর রশিদ রাত্রিকালীন পাহারার জন্য এলাকার কমিউনিটি পুলিশের হাতে পোষাক ও দেশীয় অস্ত্র (ভল্লম) ও লাঠি প্রদান করেন।
 

সমাবেশে কাপাসিয়া ও কালিগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বাজার ব্যবসায়ী, কমিউনিটি পুলিশ ও শিক্ষক সমাজসেবক সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে