শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১২:০৯:৫৯

স্বৈরশাসক সিসি কি শান্তিতে নোবেল পাচ্ছেন!

স্বৈরশাসক সিসি কি শান্তিতে নোবেল পাচ্ছেন!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিসরের ইসলামপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলকারী স্বৈরশাসক আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসিকে ২০১৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছে জাতিসংঘের একটি অঙ্গ সংস্থা।

জাতিসংঘের অর্গানাইজেশন ফর আর্টসের (ইউএনআর্টস) মধ্যপ্রাচ্যের অফিস থেকে সিসিকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মিশরের গণমাধ্যম।

মিসরের ৫০০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঘনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মুসিলম ব্রাদারহুড নেতা প্রেসিডেন্ট মুরসিকে উৎখাত করে ২০১৩ সালে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে তৎকালীন সেনাপ্রধান ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট সিসি। এর পর তাকে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে ব্রাদারহুড নেতা-কর্মীসহ দেশের শত শত নাগরিককে হত্যা করা হয়। জেলের অন্ধার প্রকষ্ঠে নিক্ষেপ করা হয় প্রেসিডেন্ট মুরসিসহ হাজার হাজার বিরোধী নেতা-কর্মীকে। তাদের উপর এখনো চলছে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ণের স্টিমরোলার।

সেই সিসিকে নোবেল পুরস্কারে মনোনয়ন দেয়ার যুক্তি হিসেবে ‘শান্তি ছড়িয়ে দিতে এবং মিশরকে অনিবার্য বিপদ থেকে রক্ষা করার তার পদক্ষেপ’ এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

গত রোববার সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট সিসি যেহেতু সন্ত্রাসবাদ এবং এই অঞ্চলের সহিংসতার জন্য দায়ী হুমকিগুলো মোকাবিলায় সংগ্রাম করে যাচ্ছেন এবং উগ্রপন্থীদের আদর্শচিন্তা পরিবর্তন করে দেয়ার পাশাপাশি উপদলগত কোন্দলের মূলোৎপাটন করছেন সে কারণে তাকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।’

ইতোমধ্যে মনোনয়ন নরওয়ের নোবেল পিস প্রাইজ কমিটি, ইউএনআর্টসের নিউ ইয়র্কের সদরদপ্তর এবং বিশ্বজুড়ে আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে পাঠানো হয়েছে বলে সংস্থাটির আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য পরিচালক নাবিল রিজক জানিয়েছেন।

সংস্থাটির দাবি, ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় তার (সিসির) সর্বোত্তম অন্তর্দৃষ্টি, অসহায়দের জন্য তার মানবিক উদ্বেগ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সিসি ২০১৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার দাবিদার।’

২০১৫ সালের নোবেল পুরস্কারের জন্য নোবেল শান্তি কমিটি এখন পর্যন্ত ২৭৬টি মনোনয়ন পেয়েছে। এর মধ্যে ২২৭ ব্যক্তি এবং ৪৯টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বরে ক্যাম্প ডেভিড শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য সে বছরই নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট আনোয়ার আল-সাদাত এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী মেনাচেম বেগিন।

ইসরাইলের সাথে শান্তিচুক্তির কারণে ক্ষুব্ধ ইসলামপন্থী জিহাদিরা ১৯৮১ সালে সাদাতকে হত্যা করে। সূত্র: কায়রো পোস্ট
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে