রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৮:১৮:২৮

টাইগারদের ‘ভয়ঙ্কর’ অ্যাখ্যা দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়া যা লিখল

টাইগারদের ‘ভয়ঙ্কর’ অ্যাখ্যা দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়া যা লিখল

স্পোর্টস ডেস্ক: ঘরের মাঠে আগামী মাসে শুরু হতে যাচ্ছে টাইগারদের আরো একটি সিরিজ। পাকিস্তান, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পর টাইগারদের এবারের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। তবে ঘরের মাঠে একের পর এক সাফল্যে দারুণ ছন্দে রয়েছে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়াকে এবার ভয়ংকর বাংলাদেশ শক্ত চ্যালেঞ্জই ছুড়ে দেবে বলে মনে করছে অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম।

কারণ হিসেবে সিডনি মরনিং হেরাল্ড বলছে, প্রায় এক দশক পর বাংলাদেশে টেস্ট খেলতে আসছে অস্ট্রেলিয়া। ২০০৬ সালে রিকি পন্টিংয়ের অধীনে যে অস্ট্রেলিয়া এসেছিল, সেটির সঙ্গে এবারের স্টিভ স্মিথের দলের ঢের পার্থক্য। র‍্যাঙ্কিং, ইতিহাস ও ঐতিহ্যে যতই দুদলের পার্থক্য থাকুক না কেন, এবার বাংলাদেশের মাটিতে স্মিথদের জন্য কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে্

শীর্ষ এই পত্রিকাটিতে ক্রীড়া সাংবাদিক জেসে হোগান লিখেছেন, এক দশক আগে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার লড়াই ‘টপ ডগ বনাম আন্ডার ডগ’ হলেও এবার ল​ড়াইটা যেন ‘সমানে-সমানে’র আকার নিতে শুরু করেছে। বিশ্বকাপে প্রথমবারের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার পর পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। হোগান লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের বড় সাফল্য মূলত সাদা বলে। এবার তারা সাফল্যের প্রতিফলন ঘটাতে চায় লাল বলেও।’
২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়া যখন বাংলাদেশে এসেছিল, স্বাগতিকেরা তখন হোঁচট খেতে খেতে এগোচ্ছিল ক্রিকেটের বড় সংস্করণে। রিকি পন্টিংয়ের দলের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ঘরের মাঠে ১৯ টেস্টে বাংলাদেশ জিতেছিল মাত্র একটিতে। ড্র দুটিতে। এই তিনটিই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ১৬টি হারও বিরাট ব্যবধানে। নয়টিই ইনিংস ব্যবধানে। সবচেয়ে ‘কম’ ব্যবধানে হার ছিল ৭ উইকেট ও ২২৬ রানে।

২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়া যখন বাংলাদেশ সফর করেছিল, দলের ১৪ সদস্যের সম্মিলিত অভিজ্ঞতা ছিল ৬৭২ টেস্ট খেলা। বিশ্ব ক্রিকেট শাসন করা পন্টিংয়ের দল সেবার ফতুল্লা টেস্টে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর জিতেছিল তিন উইকেটে। পরের ম্যাচে অবশ্য জেসন গিলেস্পির ডাবল সেঞ্চুরির সুবাদে ইনিংস ও ৮০ রানের ব্যবধানে বিরাট জয়। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। মাইকেল ক্লার্ক, শেন ওয়াটসনের অবসরের পর ডেভিড ওয়ার্নারের চোট নতুন চেহারার দল নিয়ে বাংলাদেশ আসা অস্ট্রেলিয়া দলের সম্মিলিত টেস্ট অভিজ্ঞতা ২০০৬-সালের অর্ধেকেরও কম হবে। সেখানে বাংলাদেশ দলে রয়েছে বেশ কজন অভিজ্ঞ টেস্ট খেলোয়াড়। মুশফিক, সাকিব, তামিমের রয়েছে ৪০-এর বেশি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা।
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/এমআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে