মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০১:০৫:৪০

এবার কর্মবিরতিতে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা

এবার কর্মবিরতিতে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা

নিউজ ডেস্ক : বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মতোই স্বতন্ত্র বেতন স্কেল, বেতন বৈষম্য দূরীকরণসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে এবার কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা। ঘোষিত অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের অবস্থান প্রধান শিক্ষকের এক ধাপ নিচের স্তরে রাখারও দাবি করে আসছেন তারা।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন লাখ সহকারী শিক্ষক এসব দাবিতে প্রতি শনিবার পূর্ণদিবস ও বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন। সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচির ঘোষণা দেন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ঐক্যজোটের নেতারা।

কর্মসূচির মধ্যে আরো রয়েছে— দেশের সব উপজেলা শিক্ষা অফিসের সামনে ন্যায্য দাবিসংবলিত ব্যানার টাঙানো, ১৫ অক্টোবর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতীকী অনশন ও অনশন শেষে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদানে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা এবং এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে সমাপনী পরীক্ষা বর্জন করে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা।

শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, এ কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে চলবে। আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে দাবি না মানা হলে সমাপনী পরীক্ষা বর্জন করে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা।

শিক্ষক নেতারা বলেছেন, ১৯৭৩ সালে প্রধান ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন একই থাকলেও ‘১৯৭৭ সালে ২৫ টাকা ব্যবধান ছিল। কিন্তু ২০১৫ সালে দুই হাজার ৩০০ টাকার ব্যবধান করা হয়। এখন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে বেতনবৈষম্য ৯৩ শতাংশ। এই চরম অবহেলা আমরা চাই না। বৈষম্য কমিয়ে সুষম করা হোক।’

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা জানান, ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন চলছে। দাবিগুলো হচ্ছে— প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে বৈষম্য হ্রাস। অর্থাৎ অষ্টম বেতন কাঠামো অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষকের এক ধাপ নিচে ১২তম গ্রেডে রাখা। সরাসরি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করে সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ বিবেচনা ও পদোন্নতি দেওয়া, গত বছরে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতনবৈষম্য হ্রাসে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আশ্বাস বাস্তবায়ন, সহকারী শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেল ও প্রাথমিক ডিপার্টমেন্টকে নন-ভ্যাকেশনাল ডিপার্টমেন্ট ঘোষণা করা।

শিক্ষকদের এ ঐক্যজোটের মধ্যে রয়েছে— বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ফাউন্ডেশন, সহকারী শিক্ষক ফোরাম ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রবিউল, তপন কুমার মণ্ডল, সাবেরা বেগম, মোহাম্মদ শামছুদ্দীন প্রমুখ।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে