শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৫:০৫:৩৬

আপনি ‘আত্মশুদ্ধি’র প্রকৃত অর্থ জানেন কি?

আপনি ‘আত্মশুদ্ধি’র প্রকৃত অর্থ জানেন কি?

ইসলাম ডেস্ক: মানব সত্তার পাঁচ অংশ : যে কোন ব্যক্তির পাঁচটি অংশ রয়েছে, যথা রূহ , কলব, নাফ্স, জাসাদ ও লিবাস । পরিশুদ্ধির জন্য সব অংশই পরিশুদ্ধ করতে হবে।

১) রূহের পরিশুদ্ধি : গাইরুল্লাহর মহব্বত বর্জন করে রূহকে (নিজেকে) সর্বদা আল্লাহর দিকে রুজু রাখলে রূহ আল্লাহর রঙে রঞ্জিত হয়, আল্লাহর নুরে আলোকিত হয়, ফলে রূহ পরিশুদ্ধ হয়ে আল্লাহর মহব্বত লাভের যোগ্য হয়।
২) কলবের পরিশুদ্ধি : আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমেই কলব পরিশুদ্ধ হয়। আল্লাহকে সর্বদা হাজির-নাজির জানা, সার্বণিক জিকির, কুরআন তিলাওয়াত, মৃত্যুর স্মরণ, তওবা ও ইস্তিগফার -এর মাধ্যমে কলব পরিশুদ্ধ করতে হয়।
৩) নাফসের পরিশুদ্ধি : আত্মার মুনজিয়াত গুণাবলী (ইখলাছ, তাওয়াক্কুল, সবর, শোকর.... ইত্যাদি) অর্জন এবং মুহলিকাত ত্রুটিসমুহ (রিয়া, কেবর, হাসাদ.... ইত্যাদি) বর্জনের মাধ্যমে অন্তকরণ পরিশুদ্ধির জন্য সাধনা করতে হবে। ৪) জাসাদের পরিশুদ্ধি :অজু, গোসল ও তাইমুম দ্বারা বাহ্যিক পবিত্রতা অর্জিত হয়। হালাল রিজিক দ্বারা রক্ত-মাংস পবিত্র হয়। নিষিদ্ধ ও বেহুদা চিন্তা- কথা-কাজ পরিহার, চোখ-জিহ্বা-লজ্জাস্থানের হিফাজত, বেশী কাঁদা, কম হাসা, কম কথা বলা, কম খাওয়া, কম ঘুমানো -এর মাধ্যমে জাসাদ পরিশুদ্ধ হবে।
৫) লিবাসের পরিশুদ্ধি : লিবাস হতে হবে পবিত্র, পরিচ্ছন্ন, হালাল পথে অর্জিত, শালীন এবং রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ছুন্নাহ মোতাবেক তাকওয়ার লিবাস। তাকওয়ার লিবাস গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার সহায়ক। আবার ব্যক্তি জীবনের পাঁচ ক্ষেেত্র তাযকিয়া বা পরিশুদ্ধি অর্জন করতে হবে, যথা-

ক. ঈমান ও আকিদার পরিশুদ্ধি : ঈমান হতে হবে- র্শিকমুক্ত, কুফরমুক্ত, নিফাকমুক্ত, জাহিলিয়াতমুক্ত এবং তাগুতমুক্ত। সাহাবা (রা)-গণের নমুনায় ঈমান ও আকিদা পোষণ করতে হবে। সর্বদা এর উপর অবিচল থাকতে হবে।
খ. ইলমের পরিশুদ্ধি : ইলম হতে হবে-সব ধরনের কুসংস্কার ও বিভ্রান্তিমুক্ত। কুরআন, হাদীস এবং হক্কানী ওলামাদের লিখিত কিতাব, তাদের মূল্যবান নছিহত ও সোহবাতের মাধ্যমে জাহিরী ও বাতিনী ইলমের পরিশুদ্ধি করতে হক্ষে।
গ. আমলের পরিশুদ্ধি : আমল হতে হবে- কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। আল্লাহর হুকুম ও রসুলুল্লাহ (স) এর তরিকা অনুযায়ী। রিয়া, কিব্র, জাহিলিয়াত ও বিদআতমুক্ত। সাহাবা (রা)-গণের নমুনায় আমলকে পরিশুদ্ধ করতে হবে।  
ঘ. আখলাকের পরিশুদ্ধি : মুয়ামিলাত ও
আখলাক হতে হবে এমন, যা আল্লাহর দরবারে পছন্দনীয়, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শে, সাহাবা (রা)-গণের নমুনায়, মানব জাতির জন্য উত্তম শিণীয় আদর্শ হবে।
ঙ. অর্থনৈতিক পরিশুদ্ধি : আয়-রোজগার এবং ব্যয় হতে হবে আল্লাহর দরবারে পছন্দনীয় হালাল পথে। হারাম ও সন্দেহযুক্ত পন্থা সর্বদা বর্জন করতে হবে।
এছাড়া আল্লাহর মহব্বততো দুরের কথা, কোন ইবাদাত কবুল হবে না।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/এমআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে