সোমবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৯:৫৪:৪০

গাছের ডালে এক শাড়িতে ফাঁস লাগানো স্বামী-স্ত্রী

গাছের ডালে এক শাড়িতে ফাঁস লাগানো স্বামী-স্ত্রী

গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় গাছের ডালে এক শাড়িতে ফাঁস লাগানো অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে সুদুল্লাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম নৈয়ারবাড়ি গ্রামে থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ।


ওই দম্পতির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৩ মাস আগে পশ্চিম নৈয়ারবাড়ি গ্রামের দিনেশ বাকচীর ছেলে দিপক বাকচীর (২০) সঙ্গে পাশের রামশীল গ্রামের বিবেক হালদারের মেয়ে লাকীর (১৭) বিয়ে হয়। বিয়ের আগে দিপক ঢাকায় একটি কোম্পানিতে নৈশকালীন প্রহরী হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু বিয়ের পর তিনি এলাকায় কাজের খোঁজ করতে থাকেন।

কিন্তু স্বল্প শিক্ষিত দীপক এলাকায় কোনো কাজ জোগাড় করতে পারেননি। দিপকের বাবা একজন মৎস্য ব্যবসায়ী। তার একার আয়ে সংসার ঠিকমতো চল ছিল না। এ কারণে প্রায় পারিবারিক কলহ হতো। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের দাবি, প্রায় ছয় মাস আগে দিপক শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে বিষপান করে আত্মহত্যা চেষ্টা করেছিলেন। তবে সে যাত্রায় তিনি বেঁচে যান।

বাবা দিনেশ বাকচীর ভাষ্য, আজ সকাল আটটার দিকে পশ্চিম নৈয়ারবাড়ি গ্রামের পণ্ডিত বাড়ইর বাড়ির পুকুর পাড়ের একটি কাঁঠাল গাছে এক শাড়িতে দিপক ও লাকীকে ঝুলতে দেখে প্রতিবেশীরা তাঁদের খবর দেয়। পরে, তারা গিয়ে লাশ নামিয়ে আনেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্তত তিনজন প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য, সকালে একটি শাড়িতে দীপক ও লাকীর ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। দীপকের পরনে লুঙ্গি ও ফুলহাতার জামা ছিল। লাকীর পরনে হলুদ পেস্ট রঙের শাড়ি, গোলাপি রঙের পেটিকোট ও মিষ্টি রঙের ব্লাউজ পরা ছিল।

কোটালীপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ছবেদ আলী জানান, ‘থানা থেকে ঘটনাস্থল অনেক দূরে। আমি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে যাই। তবে আমি লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পাইনি। লাশ বাড়ির উঠানে ছিল। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ আধুনিক জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ বলেন, প্রাথমিক ধারণা করা হয়েছে, বেকারত্ব ও অভাব থেকে সৃষ্ট হতাশার কারণে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এ ব্যাপারে কোটালীপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। -প্রথম আলো

১ আগস্ট ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে