সোমবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১১:০১:১৩

ছাত্রলীগের তাণ্ডবে লজ্জায় বৃষ্টিতে ভিজছেন জাফর ইকবাল!

ছাত্রলীগের তাণ্ডবে লজ্জায় বৃষ্টিতে ভিজছেন জাফর ইকবাল!

সিলেট : সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ভিসির পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ।  কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শিক্ষকদের মারধর করেছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।  রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আন্দোলনরত অন্তত সাত শিক্ষক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মারধরের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক সৈয়দ সামসুল ইসলাম।

ছাত্রলীগের ন্যক্কারজনক তাণ্ডবে নির্বাক হয়ে গেছেন প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।  অভিমানে তিনি বৃষ্টিতে ভিজছেন।  লজ্জা আর ঘৃণা  চোখেমুখে ভর করেছে।  অন্য শিক্ষকদের মাথায় ছাতা থাকলেও জাফর ইকবাল ছাতা ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ভবনের সামনে বসে আছেন।  আর অন্য শিক্ষকরা তার পাশে ভিড় করে আছেন।

এর আগে ক্ষোভ প্রকাশ করে জাফর ইকবাল বলেন, হামলাকারীরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হয়ে থাকলে এর শিক্ষক হিসেবে আমার গলায় দড়ি দিয়ে মরে যাওয়া উচিত।

তিনি বলেন, যে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সে স্লোগানের এতো বড় অপমান আমার জীবনে দেখিনি।  যেখানে ছাত্রলীগ জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হামলা করে।

উল্লেখ্য, উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে কিছুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন শাবিপ্রবির শিক্ষকরা।  এরই ধারাবাহিকতায় রোববার সকালে উপাচার্য প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষকরা জড়ো হলে ভিসিকে সমর্থন করে আসা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষকদের ব্যানার কেড়ে নেয়।  তাদের গলা ধাক্কা দিয়ে মারধর করে সরিয়ে দেয়।  

তাদের ধাক্কায় ড. জাফর ইকবালের স্ত্রী প্রফেসর ড. ইয়াসমিন হক মাটিতে পড়ে যান।  সুযোগ পেয়ে ভিসি ভবনে ঢুকে দোতলায় নিজের কার্যালয়ে চলে যান তিনি।

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক সৈয়দ সামসুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, হামলায় তাদের ৭জন শিক্ষক আহত হয়েছেন।  প্রফেসর ইয়াসমিন হক মারধরের শিকার শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনূস, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আবদুল গণি, প্রফেসর এ ন ক সমাদ্দার, মোস্তফা কামাল মাসুদ, এসোসিয়েট প্রফেসর মো. ফারুক উদ্দিন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলার সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান ঘটনাস্থলের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।  জালালাবাদ থানার ওসি আক্তার হোসেন দুই পক্ষের মাঝখানে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
৩০ আগস্ট,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে