রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১১:৩৪:৩৩

কেয়ামতের মাঠে আল্লাহ ৭ ব্যক্তিকে তার রহমতের ছায়াতলে স্থান দেবেন

কেয়ামতের মাঠে আল্লাহ ৭ ব্যক্তিকে তার রহমতের ছায়াতলে স্থান দেবেন

ইসলাম ডেস্ক: মানুষ মরণশীল। আল কোরআনের স্পষ্ট উল্লেখ আছে ‘কুল্লু নাফসিন জাইয়েকাতুল মাউন’ অর্থ্যাত প্রতিটি নর-নারী একদিন মৃত্যূর স্বাদ গ্রহণ করবে। আর মানুষের মৃত্যুর পর মহান আল্লাহ তায়ালা প্রতিটি মানুষের আমল ও পাপের হিসাব নিবেন। যারা পাপি হবে তারা জাহান্নামের কঠোর শাস্তি ভোগ করবে এবং ঈমানদার ব্যক্তিগণ রহমতের ছায়াতলে হিম শিতল চাদরে ঢাকা থাকবে। শেষ বিচারের দিন মহান আল্লাহ তায়ালা সাত শ্রেণীর মানুষকে তার রহমাতের ছায়াতলে স্থান দিবেন। চলুন সেই সাত শ্রেণীর মানুষ সম্পর্কে জেনে নিই।


হজরত আবু হোরায়রা [রা] থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল [সা] বলেছেন, সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ তায়ালা কেয়ামত দিবসে তার আরশের ছায়াতলে স্থান দেবেন, যেদিন তার ছায়া ব্যতীত আর কোনো ছায়া থাকবে না-

১. ন্যয়পরায়ণ বাদশাহ।
২. এমন যুবক, যে তার যৌবনকাল ব্যয় করেছে আল্লাহর ইবাদতে।
৩. সেই ব্যক্তি, যার অন্তর সব সময় মসজিদের সাথে লেগে থাকে।
৪. এমন দুই ব্যক্তি, যারা আল্লাহর জন্য একে অপরকে ভালোবেসেছে এবং আল্লাহর জন্যেই তাদের বিচ্ছেদ হয়েছে।
৫. এমন ব্যক্তি, যাকে কোনো সুন্দরী নেতৃস্থানীয়া রমণী মন্দকাজের জন্যে ডেকেছে, কিন্তু সে তার ডাক প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, আমি আল্লাহকে ভয় করি।
৬. সেই ব্যক্তি, যে এতটা গোপনে দান করে যে, তার বাম হাত জানে না, ডান হাত কী দান করেছে।
৭. আর সেই ব্যক্তি, যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তার দু’চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। (বোখারি ও মুসলিম শরীফ)

এখানে বিশেষভাবে যুবকদের কথা উল্লেখের কারণ হলো, যুবক বয়সেই মন্দকাজের হাতছানি আসে সবচে’ বেশি। তাই যুবক বয়সে ইবাদতে মনোনিবেশ করতে পারা তুলনামূলন কঠিন ও তাৎপর্যপূর্ণ। আরেকটি বিষয় হলো, যারা আল্লাহর উদ্দেশ্যে একে অপরকে ভালোবেসেছে এবং তাদের বিচ্ছেদের কারণও আল্লাহর নির্দেশ মান্য করা ছাড়া অন্য কিছু নয়। সেখানে পার্থিব কোনো আকাক্সক্ষা ছিলো না। তাদেরকেও আল্লাহ তায়ালা ভালোবেসে তার আরশতলে স্থান দেবেন।
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে