সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৫:৫২:২২

কর্পোরেট প্রেমিকা হতে সাবধান

কর্পোরেট প্রেমিকা হতে সাবধান

পাঠকই লেখক ডেস্ক : - আমাকে স্পর্শ করবে না !
: আশ্চর্য! হাতটাই তো ধরেছি।
- না করেছি না? এসব অন্যদের সাথে করবে?
: অন্য কারো সাথে মানে কি? হাত ধরতে অন্য একটা প্রেম করবো?

হঠাৎ ফারিয়ার ফোনটা বেজে উঠে। বর্ষনকে চুপ করতে বলে ফারিয়া ফোন ধরে। একটা ঠিকানা লিখে। অপরপাশে যে একজন ছেলে তা বেশ বোঝা যাচ্ছে। ঠিকানা লিখে দ্রুত ভ্যানিটি ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখে।

তারপরঃ - বর্ষন, আজ শপিং করা লাগবে।
: ওকে। চলো ফারিয়া।

প্রাইভেট কারে উঠতেই ফারিয়া সাজতে শুরু করে। লাল রঙ এর কড়া লিপস্টিক। দেখতে দেখতে বর্ষন প্রশ্ন করেঃ
- যে ঠিকানা লিখলে ঐটা তো ভালো জায়গা না। ঐখানে কি কাজ।

হাত থেকে আয়নাটা পড়ে যায় ফারিয়ার। রাগ করে বলেঃ
: গাড়ি থামাও। আমাকে ডাউট করো?
- সন্দেহ? আমি!
: হাঁ তুমি, সবসময়ই তো করো।
- তুমি তো অনেক ছেলের সাথে বের হও। কিছু বলেছি কখনও। শপিং মলে অনেক ছেলের সাথে দেখেছি তোমাকে। এমনকি মাতাল অবস্হায় একদিন নিজের বন্ধুর বাসা থেকে এনেছি। আর ...
: Stop it. you son of bitch.
- ফারিয়া!
: just shut up and stop the car.

বর্ষন গাড়ি থামাতেই ফারিয়া গাড়ি নেমে যায়।

সময়ঃ
রাতঃ সাড়ে বারোটা।
বর্ষন ছদ্মবেশ নিয়েছে।সাথে আছে দুজন বন্ধু। ওরা যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে এটা একটা রেড পার্টি প্লেস। স্বল্প আলো আর স্কার্ট পড়া মেয়েরা এলোমেলো ঘুরছে। বিয়ার আর শ্যাম্পেইন ছাড়াও সিগারেটের উত্কট গন্ধ। বেশি দেরী করতে হলো না বর্ষণকে।

ইতিমধ্যেই ফারিয়া একটা ছেলের সাথে আসে। ভেতরে এসেই ফারিয়াকে কিস করে ছেলেটি। একপাশে গান বাজছে। তার সামনে সব নাচছে। এলে পড়ছে এর ওর শরীরে। পাশে আছে খুপরী টাইপ ঘর।

টলতে টলতে সব কাপল হয়ে ঢুকছে। ফারিয়া সাথে আসা ছেলেটাও গেল কাউকে নিয়ে।

বর্ষন ফারিয়ার কাছে যেতেই ফারিয়া বলেঃ টেন থাউসেন্ড ফর টু আওয়ারস।

বর্ষন উয়িগ [পরচুলা] খুলে ফেলে দেয় ফারিয়ার পায়ের কাছে। চোখ ভর্তি জল থৈ থৈ করছে বর্ষণের।

অবাক হয়ে সে ভাবে, দশ হাজার টাকা মাত্র? ফারিয়ার বাবা নিজেও তো কোটিপতি। বর্ষনেরই বা কি নেই? শরীর মূল্য এত কম? ছিঃ ফারিয়া ছিঃ

ফারিয়া কি তাকে কখনোই ভালোবাসতো? খারাপ দেখায় বলে হাতটা পর্যন্ত ধরতে দেয়নি বর্ষণকে।

অথচ ? কি সহজেই শরীরটা ...

ভাবতেই আবার মাথা গুলিয়ে ওঠে। ফারিয়ার মুখ ভেসে উঠতেই বমি করে দেয় বর্ষণ।

দ্রুত গাড়ি চালিয়ে আসতে থাকে সে। অল্পের জন্য এক্সিডেন্ট হাত থেকে বেঁচে যায়।

রাত ৪ টায় নক করে দরজায়। প্রথম এত রাত করে বাসায় ফিরেছে বর্ষণ। বাসায় ঢুকেই দেখে মা জেগে আছে। টেবিলে খাবারটা পর্যন্ত গরম।

প্রথমে খেতে চায় না বর্ষণ। ফারিয়ার জন্য কষ্ট পেয়ে আর কি হবে? বর্ষনের খেতে কষ্ট হয়। তবু মা এসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেই কেঁদে ফেলে সে।

ভালোবাসা কি দুষ্প্রাপ্য?

হ্যাঁ মায়ের মত ভালোবাসা বা যত্ন কারো কাছে আশা করা ভুল।

আমরা ভুল মানুষের আবেগকেই ভালোবাসি অন্ধের মত। দিনশেষে চোখের জল ফুরিয়ে হয়ে যাই একা। ভীষণ একা।

মোরালঃ কর্পোরেট প্রেমিকা হইতে সাবধান।

উৎসর্গ : তনুময়কে।

লেখক : কাব্যপ্রেমী রিফাত
বি:দ্র:  সম্পাদক দায়ী নয়
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে