সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৬:১৩:৪৬

ব্রাজিলের এক শহরে রোদকাণ্ডে ভুতুড়ে

ব্রাজিলের এক শহরে রোদকাণ্ডে ভুতুড়ে

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ব্রাজিলের ছোট্ট শহর আরারাস। সাও পাওলো প্রদেশের এই শহরটিতে জনসংখ্যা মাত্র ৮০০ জন। এর মধ্যে ৬০০ জনই এক অদ্ভুত রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে ২০ জনের অবস্থা গুরুতর যা চামড়ার ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি করেছে।

তারা জেরোডারমা পিগমেনটোসাম নামে একটি জিন সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত। ঘরের বাইরে রোদের মধ্যে যেতে পারেন না। রোদে গেলেই তাদের মুখমন্ডল জ্বলে যায়। রোদের মধ্যে গেলে সূর্যের অতিবেগুণি রস্মি তাদের মুখের চামড়ার এমন ক্ষতি করে যা আর সারিয়ে তোলা সম্ভব হয় না।

শহরটির বাসিন্দারা তাই তারা সারাক্ষণ ঘরের মধ্যে ছায়ায় অবস্থান করেন। কেউ কেউ মনে করেন, এটি যৌন সংসর্গের মাধ্যমে সংক্রমিত একটি রোগ। কারও মতে এটি হলো ঈশ্বরের শাস্তি।

জার্দিন নামে একজন বলেন, বাইরে গেলেই আমার শরীর সূর্যের তাপে জ্বলতে শুরু করে। পরদিন ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার শরীরে ছোট্ট ফুটকি ফুটে উঠেছে। দুয়েক দিনের মধ্যে ফুটকির দাগটি দ্রুত বাড়তে থাকে। আমার চোখের মধ্যে এমনই একটি ফুটকির দাগ রয়েছে যার বৃদ্ধি কখনই থামেনি। এটি একটি ভয়ানক অসুখ।

ওই সাক্ষাৎকারের কিছুদিনের মধ্যে জার্দিনের অসুস্থতা গুরুতর হয়ে ওঠে এবং তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার পরিবারের একজন আত্মীয় এই রোগে আগেই মারা গেছেন এবং তার এক ভাই ও এক বোন এখন আক্রান্ত।

দুগ্ধ খামারের মালিক ডেইডিও নিরাময়ের অযোগ্য এই রোগে মুখের অনেকটা অংশ হারিয়েছেন। দোকান মালিক গ্লেইসি মাচাদো এই রোগের কারণ খুঁজে বের করার জন্য উদগ্রীব ছিলেন।

এই রোগের যেহেতু কোনও নিরাময়ের উপায় নেই, সেজন্য চিকিৎসকরা আক্রান্তদেরকে রোদে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ করেছেন।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএএস/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে