রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০২:২৫:৩৫

ভারতের সঙ্গে ট্রানজিট ফি পুনর্বিবেচনার দাবি বিএনপির

ভারতের সঙ্গে ট্রানজিট ফি পুনর্বিবেচনার দাবি বিএনপির

ঢাকা : ভারতের সঙ্গে ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্টের ফি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। ভারতের পণ্য পরিবহনে টন প্রতি ১ হাজার টাকা ফি আদায়ের দাবি করেছে দলটি। বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতীয় পণ্য পরিবহনের ট্রানজিট মাশুল টনপ্রতি ৫৮০ টাকা কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করে এ মাশুল পুনর্বিবেচনার দাবি জানান তিনি।

রিপন বলেন, গত বুধবার ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্টের ফি নিয়ে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে প্রতি টনে ১ হাজার টাকার পরিবর্তে কমিয়ে ৫ শত ৮০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। বিএনপি ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্টের বিরোধী নয়। তবে এর বিনিময়ে বাংলাদেশ কি পেল তা ভেবে দেখতে হবে।

প্রধামন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান শুরু থেকেই ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্টের বিনিময়ে ভারতের কাছ থেকে মাসুল আদায়ের বিরোধী মন্তব্য করে রিপন বলেন, ভারত কেন্দ্র থেকেই তার বিভিন্ন অঙ্গ রাজ্যে যে পণ্য পরিবহন করে তা কোন রিলিফ কর্মসূচি নয়। ঐ সব যদি রিলিফ কর্মসূচি হতো তাহলে তা বাংলাদেশ বিবেচনা করতে পারে। কিন্তু ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্টের মতো বাণিজ্যিক কার্যক্রম কোনভাবেই রিলিফ কর্মসূচি ভাবার কোন কারণ নেই।

তিনি বলেন- সরকারে, প্রশাসনে কিছু ‘অতি বিদেশ বান্ধব’ কর্মকর্তা থাকতে পারে। তবে বাংলাদেশের মানুষ কোনভাবেই তা মেনে নেবে না। তারা চায় ভারত আমাদের সঙ্গে প্রতিবেশী সুলভ সম্পর্কের স্বার্থে আমাদের ভূমি ব্যবহার করে তারা যে লাভবান হচ্ছে তার উপযুক্ত মাশুল আমাদেরকে দিক।

রিপন বলেন, স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কখনও বন্ধুত্ব হয় না। সরকারের নৈতিকভিত্তি দুর্বল থাকার কারণে তারা ভারতের কাছ থেকে ন্যায্য মাশুল আদায় করতে নতজানুতার পরিচয় দিচ্ছে। তবে ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ন্যায্য মাসুল আদায় করতে হবে।

তিনি বলেন, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাটের মাধ্যমে বছরে মাত্র ৫০ কোটি টাকা আদায়ের জন্য সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তারাই কেন দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতের সঙ্গে ট্রানজিটের ন্যায্য মাশুল আদায়ে এতটা আপোষকামী তা জাতি জানতে চায়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার, জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক আফজাল এইচ খান, সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন প্রমূখ।
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে