রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৭:২৮:২৩

জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের আমল

জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের আমল

ইসলাম ডেস্ক: জিলকদ মাসের পরেই শুরু হয়ে পবিত্র জিলহজ মাস। জিলহজ মাসটি মূলত আরবী বর্ষপুঞ্জির শেষ মাস। মহন আল্লাহ তায়ালার আদশে অনুযায়ি ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা এ মাসে পবিত্র হজ ও কোরবানীর মতো গুরুত্বপূর্ণ আমল পালন করে থাকেন।


জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন বছরের উল্লেখযোগ্য দিনগুলোর অন্যতম। মহান রাব্বুল আলামীন কুরআন মাজীদের সুরায়ে ফাজরে তার শপথ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, প্রভাতের শপথ এবং দশ রজনীর শপথ। রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. এর মতে, এই দশ দিন হলো জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন।

মহান আল্লাহ তাআলার এই দশ দিনের শপথ তার বিশেষত্ব বোঝায় নিশ্চয়। তাই এই দিনগুলোর আবেদন ও দাবি অন্যান্য সময়ের চেয়ে ভিন্ন। জিলহজ মাসের পবিত্র হজ ও কুরবানীর মতো গুরুত্বপূর্ণ দুই ইবাদতের সমাবেশ ঘটে। সামর্থবান ব্যক্তিরা প্রেমাষ্পদের ডাকে সাড়া দিয়ে প্রেমমেলায় হাজির হয়ে ‘লাব্বাইক ধ্বনিতে সব মুখরিত করে তোলেন।

অন্যদিকে পৃথিবীজুড়ে মুসলমানরা ধর্মীয় পিতা হযরত ইবরাহীম আ. ও হযরত ইসমাঈল আ.-এর স্মৃতি বিজড়িত ত্যাগের নমুনা স্বরূপ কুরবানী করে ধন্য হন। এছাড়া এ সময়ের সঙ্গে আরও আমলও সম্পৃক্ত রয়েছে। তবে ব্যাপার হলো-এই দশ দিনের যে কোনো ইবাদতের সওয়াব অন্য সময়ের তুলনায় বহুগুণে বেশি।

ইরশাদ হয়েছে, আল্লাহর কাছে এই দশ দিনের আমলের চেয়ে প্রিয় আর কোনো আমল নেই। জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রসুল ! আল্লাহর পথে জিহাদও কি তার চেয়ে উত্তম নয়?  তিনি উত্তর  দিলেন, না; কেউ যদি আপন জানমাল দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করে অতপর শহীদ হয়ে যায় তার কোনো কিছুই ফিরে না আসে। [বুখারী]    

তিরমিযি শরীফে বর্ণিত হয়েছে, আমলের জন্য আল্লাহর কাছে জিলহজের প্রথম দশ দিনের চেয়ে প্রিয় আর কোনো দিন নেই। তার একদিনের রোযা এক বছরের রোযার সমান এবং প্রতি রাতের ইবাদত শবেকদরের ইবাদতের সমান। তাই জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের সওয়াবের ভরা বসন্ত। যে কোনো ইবাদতই তাতে করা যেতে পারে। জিলহজ মাসের ৯ তারিখের রোযা ও রাতে নফল ইবাদতের মাধ্যমে তার সদ্ব্যবহার করা যেতে পারে। জিলহজ মাসের ৯ তারিখের রোযার মর্যাদা আরও বেশি। রাসূল সা. ইরশাদ করেন, আরাফার দিনের রোযা  সম্পর্কে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী, আল্লাহ তার মাধ্যমে আগে ও পরের এক বছরের গোনাই ক্ষমা করে দেবেন। [মুসলিম]   

অপরিসীম গোনাই থেকে অল্প আমলের বদলে মুক্তি পেতে কে না চায়? এ দশ দিনের আরেকটি বিশেষ আমল হলো, জিলহজ মাসের চাঁদ ওঠার পর থেকে কুরবানী করা পর্যন্ত নখ, চুল ও শরীরের অন্যান্য পশম না কাটা। হাদীসে ইরশাদ হয়েছে, তোমাদের থেকে যারা কুরবানীর ইচ্ছা করে তারা যেন জিলহজ মাস শুরুর পর থেকে নখ, চুল ও শরীরের অন্যান্য পশম না কাটে।  স্মরণ রাখতে হবে, কুরবানীই এ সময়ের মূল ইবাদত। তাই সাধ্যানুপাতে নফল ইবাদতের পাশাপাশি নিষ্ঠার সঙ্গে কুরবানী করার পূর্ণ চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
২৮ আগস্ট,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/এমআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে