রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৮:০৬:০৪

যে সূরা তাওরাত, ইঞ্জিল, জবুর এবং কোরআনে অবতীর্ণ হয়েছে

যে সূরা তাওরাত, ইঞ্জিল, জবুর এবং কোরআনে অবতীর্ণ হয়েছে

ইসলাম ডেস্ক: মহান আল্লাহ তা’য়ালা নিজের ইচ্ছাশক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। এ ইচ্ছাশক্তি অলস, অমনোযোগী, দুর্বল, নিস্ক্রীয় নয় বরং তা দুর্দ্দম, সর্বজয়ী, প্রাণবন্তু এবং কল্যাণধর্মী। সূরা ইখলাসের উপকারীতা ও ফজিলত সম্পর্কে মুসলিম, তিরমিজী, আবু দাউদ ও নাসায়ীতে একাধিক হাদিস রয়েছে। হজরত ওকবা ইবনে আমের বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল (স.) বলেন, আমি তোমাদেরকে এমন তিনটি সূরার কথা বলছি, যা তাওরাত, ইঞ্জিল, জবুর এবং কোরআন সব কিতাবেই অবতীর্ণ হযেছে। সেই সূরা গুলো মধ্যে সূরা ইখলাস একটি।


মহানবী (সা.) বলেন, রাতে তোমরা ততক্ষণ নিদ্রা যেয়ো না, যতক্ষণ সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস না পাঠ কর। ওকবা বলেন, সেদিন থেকে আমি কখনও এ আমল পরিত্যাগ করিনি (ইবনে কাসীর)। তা ছাড়া আবু দাউদ, তিরমিজী এবং নাসায়ীর এক দীর্ঘ বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ (স.) বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পাট করে তা তাকে বালা-মসিবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট হয় (ইবনে কাসীর)

সূরা ইখলাস পাঠের বরকত:
১। এই সূরা যে ব্যক্তি একবার পাঠ করবে সেই ব্যক্তি কোরআনুলকারীম এক তৃতীয়াংশ পাঠ করার সওয়াব লাভ করবে।
২। যে ব্যক্তি সূরা ইখলাস দশবার পাঠ করবে আল্লাহ্ তায়ালা নিজ হাতে ওই ব্যক্তিকে জান্নাতে বিশেষ মর্যাদাশীল একটি মহল দান করবেন ।
৩। সূরাটি যে ব্যক্তি অধিক পাঠ করবে আল্লাহ্ তায়ালা আর জন্য জান্নাতে ওয়াজিব করে দিবেন।
৪) যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণ পাঠ করবে আল্লাহ্ তায়ালা তাঁর লাশ বহন করার জন্য হয়রত জিবরাঈল (আঃ) এর সাথে সত্তর হাজার ফেরেশতা প্রেরন করবেন। সেই ফেরেশতারা তাঁর লাশ বহন করবে এবং জানাজায় শরিক হবে।

সূত্র: ইত্তেফাক।
২৬ আগস্ট,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/এমআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে