রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৯:২০:৪৮

ইচ্ছাগুলো অপূর্ণই থেকে গেল!

ইচ্ছাগুলো অপূর্ণই থেকে গেল!

পাঠকই লেখক ডেস্ক: আজ মাসের ২৪ তারিখ। অথচ এখনও গত মাসের টিউশনের টাকাটা হাতে পাইনি। আমাদের মত পরিবারের বেকার ছাত্রদের টিউশনটাই একমাত্র সম্বল। গত কয়েকটা দিন প্রচন্ড অর্থ কষ্টে কাটছে। এমনকি সামান্য এমবি কেনার টাকাটাও পকেটে ছিলো না কয়েকদিন।

এই ক'দিনে নিজেকে দেখে এইটুকু অভিজ্ঞতা হয়েছে যে যার পকেটে টাকা নেই সেই মানুষটাই বোধহয় পৃথিবীর সবথেকে বড় অসহায়। বোনটার সামনে পরীক্ষা। খুব ইচ্ছে ছিলো ওর পছন্দের জামাটা কিনে দিবো। কিন্তু না, আজ আর দোকানে সেই জামাটা ঝুলানো নেই। বোনটাকে তার পছন্দের জামাটা কিনে দেয়ার ইচ্ছেটা আর অপূর্নই থেকে গেল! টিউশনের টাকাটা চাইতেও পারিনা। কারন ছাত্রের বাবা অসুস্থ, বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি। সবাই সেখানেই।

আসলে একটা জিনিস উপলব্দি করতে পারছি, মধ্যবিত্ত শব্দটা শুধু কাগজে কলমে। আসলে মধ্যবিত্ত বলতে কিছু নেই, বিত্ত দুটোই উচ্চবিত্ত আর নিম্মবিত্ত। আর আমরা নিম্মবিত্তশ্রেনীরা কেবল স্বপ্নই দেখে যাই। স্বপ্নগুলোই আমাদের বেঁচে থাকার জ্বালানী।

স্বপ্নগুলোর পোড়া উত্তাপে পুড়ে পুড়ে আমরা কেবল কয়লা হই। সময় চলে যায়, বোনের জন্য তার পছন্দের জামাটা কেনা হয়না, বাবাকে বলা হয়না, "বাবা, এই লুঙ্গিটা তোমার জন্য"। সময় করে কখনও প্রিয়ার ঠোটের পুরু লিপিষ্টিকও ছুঁয়ে দেখা হয়না, সযতনে কিনে রাখা কাঁচচুড়ি গুলোও পকেটের দেয়াল টপকে স্থান পায়না প্রিয়ার দুহাতে, পাছে কাঁচচুড়িতে যদি মনক্ষুন্ন হয়!

সব ব্যার্থতার যখন ভর করে ক্লান্ত হৃদয়ে, ঘুমের ঘোরে উপহাসে মেতে ওঠে সুসময়, তখনও স্বপ্ন দেখি আমরা।
সুনীলের সাথে গলা মিলিয়ে বলি, "দেখিস একদিন আমরাও...."
কিন্তু না।

দিনশেষে আমরা নিম্মবিত্তই। আমাদের আর কিছুই দেখানো হয়না।

লেখক : একজন সাইকো
৩১ মার্চ ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসবি/এসএস

 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে