সোমবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১০:১৫:২৪

১০১ নারীকে খুন করে সন্যাসী হওয়ার ইচ্ছা ছিল রসু খাঁর

দপুর : বহুল আলোচিত সাহিদা হত্যা মামলায় সিরিয়াল কিলার রসু খাঁকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।  বুধবার চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অরুনাভ চক্রবর্তী এ রায় দেন।
 
আসামি পক্ষের আইনজীবী ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ১৮ আগস্ট ফরিদগঞ্জের নানুপুর খালপাড়ে এনে শারীরিক নির্যাতনের পর খুন করা হয় খুলনার দৌলতপুরের সজলা গ্রামের সাহিদা বেগমকে।

পরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।  এরপর চাঁদপুর মডেল থানার তৎকালীন এসআই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।  ওই সময় মামলাটির তদন্ত সাপেক্ষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়।
 
পরে রসু খা ধরা পড়লে তাকে রিমান্ডে নেয়ার পর তিনি ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।  এর ভিত্তিতে ২০১০ সালে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করা হয়।
 
তদন্ত শেষে মামলায় রসু খাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।  দণ্ড বিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে সাক্ষগ্রহণ করা হয়।  রসু খাঁর কৌঁসুলি না থাকায় আদালত সিনিয়র আইনজীবী মো. নইমুল ইসলামকে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে রসু খাঁকে আইনগত সহায়তা দেয়ার জন্য নিয়োগ করেন।
 
অ্যাডভোকেট নইমুল ইসলাম জানান, সোমবার মামলাটির যুক্তিতর্ক শেষ হয়। বুধবার রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন আদালতের বিচারক।  আজ আদালত ফাঁসির রায় ঘোষণা করেন।
 
চুরির ঘটনায় ২০০৯ সালের ৭ অক্টোবর ঢাকার টঙ্গীর নিরাশপুর থেকে রসু খাকে আটক হয়।  জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে সিরিয়াল কিলিংয়ের মতো চাঞ্চল্যকর তথ্য।

একে একে ১১ জন নারীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন রসু খাঁ।  পরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমিরুল ইসলামের কাছে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানন্দিতেও ১১ খুনের বর্ণনা দেন তিনি।  জবানবন্দিতে তিনি জানান, তার ইচ্ছা ছিল ১০১ নারীকে খুন করে সিলেট মাজারে গিয়ে সন্যাসী হওয়ার।
২২ এপ্রিল,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে